সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

গনোরিয়া

গনোরিয়া


গনোরিয়া একটি মরাত্বক যৌনরোগের নাম। যা সাধারণত নারী-পুরুষ উভয়ের হতে পারে। এটি  একটি কষ্টদায়ক যৌনবাহিত রোগ। নাইসেরিয়া গনোরিয়ানামক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া তার শরীরে  বাসা বাধে এর ফলে এই রোগটি প্রকাশ পায়। গনোরিয়ার প্রধান কারণ  বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক। এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে যৌনমিলনের কারণে অন্য দেহে স্থানান্তরিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশার ২-১০ দিন পরই এ রোগের লক্ষণ দেখা যায়। সাধারণত নারীদের চেয়ে পুরুষরাই এই যৌনরোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
লক্ষণ: পুরুষের যৌনাঙ্গ দিয়ে পুঁজ বের হওয়া, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, প্রস্রাব করতে কষ্ট হওয়া, পুরুষত্বহীন সহ অনেক সমস্যা হতে পারে
মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় লক্ষণ প্রকাশ না পাইলেও যোনিপথ ও মুত্রনালিতে জ্বালাপোড়া করতে পারে, পুঁজের মত হলুদস্রাব হতে পারে, তলপেট ব্যাথ্যা ও মাসিক সক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নাইসেরিয়া গনোরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া পুরুষাঙ্গ, সারভিক্স বা জরায়ুর ছিদ্র, রেকটাম মলাশয় বা পায়ু, গলা ও চোখকে আক্রান্ত করতে পারে। এই ইনফেকশনজনিত কারণে বন্ধ্যাত্বও দেখা দিতে পারে।
পরামর্শ:  গনোরিয়া আক্রান্ত হওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী সহবাস করলে দুজনকেই চিকিৎসা নিতে হবে। আসুন বিবাহ বহির্ভূত যৌনমিলন থেকে বর্জণ করে নিজেকে যৌনরোগ থেকে বাচান ও অন্যকে বাচতে সাহায্য করুন।
Gonorrhea-symptoms-in-women
বিবাহ বহির্ভূত যৌনমিলন থেকে বর্জণ করে নিজেকে যৌনরোগ থেকে বাচান ও অন্যকে বাচতে সাহায্য করুন

আরো পড়ুন: যৌরোগ ও তার লক্ষণ

রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

নওগাঁ জেলার ন‌জিপু‌রে আসছে

২১ সে‌প্টেম্বর নওগাঁ জেলার ন‌জিপু‌রে আসছে


যারা বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যারা দির্ঘ দিন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েও হতাশায় ভুগছেন। তারা আজই যোগাযোগ করতে পারেন।

সমগ্র বাংলাদেশে চিকিৎসা জগতে আলোরণ সৃষ্টিকারী,
হাফেজ মাওলানা ডা. আসাদুজজামান
(ডি, এইচ, এম, এস)(বি, এইচ, এম, সি, এন্ড এইচ)(বি, এইচ, বি)
চেয়ারম্যান-মাদানী হোমিওপ্যাথিক ইন্টারন্যাশনাল।

তিনি এখন আপনার এলাকায় আসছেন।
তারিখ: ২১ সে‌প্টেম্বর ২০১৯ । রোজ: শনিবার।
সময়: সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ পর্যন্ত।

স্থান: “তোহা হোমিও হল”, নজিপুর বাস্ট্যান্ড মসজিদ মার্কেট, পত্নীতলা, নওগাঁ।

সিরিয়াল দেয়ার নম্বর: ০১৭৩১ ৪৮০ ৮৮৩ 

আমাদের সেবা সমূহ: এখানে হেপাটাইটিস-বি/সি, প্রেসার, অর্শ্ব, ডায়াবেটিস, ফিস্টুলা, যৌন, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, আমাশয়, জরায়ুর টিউমার, লিভার স্টোন, কিডনি স্টোন, বাত রোগ, নেফ্রাইটিস, হার্ট ব্লক, এজমা, পলিপাস, মাথা ব্যথা হাড় ক্ষয়, হাড় বৃদ্ধি. বিভিন্ন সমস্যার কারণে বাচ্চা না হওয়া সহ যে কোন নতুন পুরাতন রোগের সু-চিকিৎসা করা হয়।
nazipur-madani-homeopathic
coming nazipur


শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ব্রেইন স্ট্রোক

ব্রেইন স্ট্রোক

মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত প্রবাহ হ্রাস পেলে মস্তিষ্কের কোষকলার মৃত্যু ঘটে এবং শরীরের স্বাভাবিক কার্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি হয়। মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ আকস্মিকভাবে হ্রাস পাওয়াকেই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা ব্রেইন স্ট্রোক বলা হয়।

ব্রেইন স্ট্রোকের কারনে-ব্রেন ড্যামেজ, প্যারালাইসিস এবং মৃত্যুও হতে পারে।
স্ট্রোক হওয়ার আগে স্ট্রোকের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। লক্ষণ গুলো চিনতে পারলে এবং দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারলে রোগীকে মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব৷ নিম্নে কিছু ব্রেইন স্ট্রোকের লক্ষণ উল্লেখ করা হলো।
 মুখের অর্ধেক অবশ হয়ে পড়া:
যদি হঠাৎ করেই মুখের অর্ধেক নাড়াতে না পারেন বা মুখের অর্ধেক পুরোপুরি অবশ হয়ে পড়ে তাহলে তা স্ট্রোকের স্পষ্ট একটি লক্ষণ। যখন আপনার মুখের মাংসপেশিতে রক্ত সরবরাহকারী স্নায়ুগুলো অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়,তখন এমনটা ঘটে।
বাহুর দুর্বলতা:
স্ট্রোকের আরেকটি স্পষ্ট লক্ষণ হলো কোনো একটি বাহুতে এমন দুর্বলতা বা অবশ হওয়া যে আপনি তা মাথার ওপর টেনে তুলতে পারছেন না।
 কথায় অস্পষ্টতা:
যদি হঠাৎ করেই কথা বলার সময় অস্পষ্ট আওয়াজ করতে থাকেন তাহলে তা স্ট্রোকের লক্ষণ। মস্তিষ্কের কথা বলা এবং যোগাযোগের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণকারী অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এমনটা হচ্ছে । 
 শরীরের একপাশে দুর্বলতা বা প্যারালাইসিস:
দেহের কিছু অংশ বা অর্ধেকটাজুড়ে দুর্বলতা বা প্যারালাইসিস এর মধ্য দিয়েও স্ট্রোকের লক্ষণ ফুটে ওঠে। এমন লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই হাসাতাল ও ডাক্তারে কাছে যেতে হবে।
মাংসপেশিতে খিল ধরা:
যদি মাংসপেশির স্নায়ুগুলোর রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আপনার দেহের এক বা একাধিক জায়গায় মাংসপেশি শক্ত হয়ে আসবে। দেহের যে কোনো অর্ধেক অংশেই সাধারণত এমনটা ঘটতে পারে। 
তীব্র মাথাব্যথা-
আপনি যদি আগের যে কোনো মাথা ব্যথার তুলনায় অনেক বেশি তীব্র মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হন তাহলে বুঝতে হবে আপনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। 
দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া:
স্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ হলো কোনো একটি চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা। মস্তিষ্কের যে অংশ দৃষ্টি সম্বন্ধীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে সে অংশে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে এমনটা ঘটতে পারে।

প্রিয় পাঠক, সময় দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
এধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে পারেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার দ্বারা এধরনের বহু রোগী সুস্থ হয়েছে।
brain-stroke
brain stroke


প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হওয়া কি?

স্টেট গ্রন্থি বড় হওয়া কি?


পুরুষের মূত্রথলির ঠিক নিচে থাকে প্রোস্টেট গ্রন্থি। বয়স বারার সঙ্গে এই গ্রন্থি আকারে বড় হয়। বিশেষ করে ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের অনেক সময় প্রোস্টেট গ্রন্থি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হয়ে যায়। তখন বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৫০ বছরের পর পুরুষদের প্রোস্টেটে ক্যানসার,প্রদাহ ইত্যাদির ঝুঁকিও বেড়ে যায় বলে সতর্ক থাকাই ভালো। প্রোস্টেট গ্রন্থি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হওয়াকে চিকিসাশাস্ত্রের ভাষায় হাইপারট্রফি বলে এবং এই রোগকে বলে বিনাইন এনলারজমেন্ট অব প্রোস্টেট বা সংক্ষেপে বিইপি। প্রোস্টেট বড় হওয়া মানেই প্রোস্টেট ক্যানসার নয়। 

প্রোস্টেট বড় হওয়ার লক্ষণ:
1. বয়স্ক পুরুষদের প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণে অক্ষমতা বা প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা।
2. প্রস্রাবের ধারা দুর্বল হওয়া।
3. ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হওয়া।
4. প্রস্রাব একবারে পরিষ্কার না হওয়ার দরুন রাতে বারবার ওঠা।
5. মাঝে মাঝে প্রস্রাবের ধারা একবারে বন্ধ হওয়া এবং আবার শুরু হওয়া ইত্যাদিত উদ্ভব পরিস্থিতির শিকার হতে পারে। 
6 প্রস্রাব করার পর প্রস্রাবের থলিতে আরও প্রস্রাব রয়ে গেছে এমন অস্বস্তিকর অনুভূতি হওয়া। 
এধরনের লক্ষণ টের পেলে চিকিসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।

চিকিসা
প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধির চিকিসার কিছু পর্যায় রয়েছে। প্রথম দিকে প্রস্রাবের ধারা মুক্ত রাখতে বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে উপসর্গের উন্নতি হয়। কিছু দিন পর আবার প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার মত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এক পর্যায় কোন উন্নত না হলে অস্ত্রোপচার করে। 
প্রিয়পাঠক, প্রোস্টেট সমস্যা হোমিওপ্যাথিক চিকিসা করলে বিনা অপারেশনে ভালো হয়ে যায়। এধরনের আপডেট পেতে আমাদের  সংগে থাকুন ।
prostate gland
prostate gland

prostate gland
prostate 

বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

প্যানক্রিয়াটাইটিস কাকে বলে?

প্যানক্রিয়াটাইটিস কাকে বলে?


প্যানক্রিয়াটাইটিস:প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয় একটি গ্রন্থি আছে। এটি পেটের দিকে এবং পেছনের দিকে থাকে। এতে ইনফেকশন হলে আমরা বলি যে পেনক্রিয়াটাইটিস বা প্রদাহ।

লক্ষণ:আসলে এটি একটি খুব খারাপ অসুখ। যদিও এটা ক্যানসার নয়, কিন্তু এটি আরো ভয়াবহ হয়। এতে পেটে তীব্র ব্যথা হয়, নাভির ওপরে। ব্যথাটা পেছনের দিকে যায়। সঙ্গে রোগীর জ্বর থাকে, এরপর বমি হয়, এগুলো সাধারণত লক্ষণগুলো।

কারণ:কিছু কারণ রয়েছে।যদি পিত্তথলিতে পাথর হয়, আমরা বলি গলস্টোন পেনক্রিয়াটাইটিস। যারা খুব বেশি মদ্যপান করে, তাদের পেনক্রিয়াটাইটিস হয়, ওজনাধিক্য একটি কারণ এর। রক্তের মধ্যে যদি চর্বি জমে যায়, যারা অতিরিক্ত ধূমপান করে, তাদেরও প্যানক্রিয়াটাইটিস বেশি হয়। জন্মগত কিছু সমস্যা থাকলে প্যানক্রিয়াসে তাও প্যানক্রিয়াটাইটিস হতে পারে।

প্যানক্রিয়াটাইটিস হলে কি করনিয়: আসলে যেকোনো পেটের ব্যথা হলে প্রথমত চিকিসকের পরামর্শ নিতে হবে। পেটের ওপর ব্যথা হলে যে তা সব সময় প্যানক্রিয়াটাইটিস এটি সব সময় ঠিক নয়। অনেক কারণে পেটের ওপর ব্যথা হয়। ইতিহাস নিয়ে যদি দেখা যায় পেটের পরে ব্যথা, পেছনের দিকে যায় তাহলে ধারণা করতে পারে।প্যানক্রিয়াটাইটিস দুই ধরনের। একিউট আর ক্রনিক। ব্যথাটা খুব মারাত্মক হয়। রোগী সামনের দিকে চাপ দিয়ে ঝুঁকে পড়ে। পেটে চাপ দিয়ে রাখলে সে অনেক স্বস্তিবোধ করে। চিকিসকের কাছে আসার পর একটি আলট্রাসনোগ্রাফি করলে সেখানে ধরা পড়ে পেটটা ফুলে গেছে। অনেক সময় পাথরের কারণে প্যানক্রিয়াস সমস্যা হয়। এরপর রক্তের পরীক্ষা করতে হয়। একটি এনজাইম আছে এমাইলেজ, আইপিএসএগুলো পরীক্ষা করলে একিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস কি না সেটি বোঝা যাবে। সময় দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ, সঠিক সমাধান দেয়ার জন্য সব সময় মাদানী হোমিওপ্যাথিক ইন্টারন্যাশনাল আপনাদের সেবায় নিয়োজিত।


pancreas
pancreas

পায়ুপথের রোগ এনাল ফিসার

পায়ুপথের রোগ এনাল ফিসার


এনাল ফিসার হচ্ছে এমন একটি রোগ যার কথা সহজে কাউকে বলা যায় না, আবার সহ্যও করা যায় না, রোগী সর্বক্ষণ যন্ত্রণায় অস্থির থাকেন। হাঁটতে পারেন না, বসতে পারেন না, টয়লেট করতে পারেন না যন্ত্রণার ভয়ে। এনাল ফিসার হচ্ছে পায়ুপথের একটি রোগ। পায়ুপথের সব রোগকেই সাধারণ মানুষ পাইলস মনে করে, কিন্তু পাইলস ছাড়াও এখানে আরও অনেক ধরনের রোগ হয়, এনাল ফিসার তাদের মধ্যে একটি। এনাল ফিসার কি? খুব সহজ ভাষায় এনাল ফিসার হচ্ছে পায়ুপথ ছিঁড়ে যাওয়া। সাধারণত প্রবল কোষ্ঠ কাঠিন্য হলে অথবা যথাযথ প্রক্রিয়ায় টয়লেট না করলে শক্ত মল অথবা অতিরিক্ত চাপে পায়ুপথ একটুখানি ছিঁড়ে যেতে পারে।লক্ষণ : যেহেতু পায়ুপথ অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা ছিঁড়ে যাওয়ার পর মলত্যাগ করলেই তীব্র ব্যথা শুরু হয়। সেই ব্যথা কারও আধা ঘণ্টা, কারও সারা দিন স্থায়ী হয়। সে ব্যথা সারা তলপেটে ও পায়ে ছড়িয়ে যেতে পারে। সঙ্গে চুলকানি ও এক ধরনের অস্বস্তি হতে পারে। রোগী ব্যথার ভয়ে টয়লেটে যেতে চান না, ফলে কোষ্ঠ আরও কঠিন হয়ে পড়ে এবং পরবর্তী মলত্যাগে ব্যথা আরও বাড়ে। বিষয়টি দুষ্টচক্রের মতো চলতে থকে। আর একটি উপসর্গ রক্ত যাওয়া, এনাল ফিসারে রক্ত বেশি যায় না, মলের গায়ে কিংবা টিস্যু পেপারে দেখা যায় দু-এক ফোঁটা রক্ত কমোডেও দেখা যেতে পারে।চিকিসা : প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু স্থানিক মলম, মল নরমের ওষুধ ইত্যাদি ব্যবহার করলে ভালো হয়ে যায়। আর যাদের এসবে হয় না তাদের ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ একটি অপারেশন করতে হয়। এই অপারেশন এত ছোট যে রোগী চাইলে দিনে দিনে বাড়ি চলে যেতে পারেন। যথাযথভাবে এই অপারেশন হলে এই রোগ আর দেখা দেয় না। এই রোগ লালন না করে যথাযথ চিকিসা নেওয়া উত্তম। কারণ প্রতিকার নয় প্রতিরোধ উত্তম।*** হোমিওপ্যাথিতে এর পরিপূর্ন চিকিসা ব্যবস্তা আছে। এবং সার্জারির প্রয়োজন হয় না, এমন কি কয়েকবার অপারেশনের পরেও আবার দেখা দেয়া এনাল ফিসারের সফল চিকিসা আমাদের মাদানি হোমিওপ্যাথিক ইন্টারন্যাশনাল হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ
anal fissure
এনাল ফিসার

কিডনিতে পাথর হয়েছে কি করে বুঝবেন?

কিডনিতে পাথর হয়েছে কি করে বুঝবেন?



কিডনিতে পাথর হলে সাধারণত: যেসব লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো দেখা দেয়:
1. পিঠে, দুই পাশে এবং পাঁজরের নিচে ব্যথা হওয়া ও তলপেট এবং কুঁচকিতে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া
2. প্রস্রাব ত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া 
3.প্রস্রাবের রঙ গোলাপী, লাল অথবা বাদামী হওয়া
4. বারবার প্রস্রাবের বেগ পাওয়া
5. যদি কোন সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে জ্বর এবং কাঁপুনী হওয়া
6. বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া

কিডনির পাথর কয়েক ধরণের হয়

1. ক্যালসিয়াম পাথর (Calcium stones) : বেশিরভাগ কিডনির পাথর ক্যালসিয়াম পাথর। সাধারণত খাদ্য ব্যবস্থা (কিছু কিছু শাক-সবজি, ফলমূল, বাদাম এবং চকলেট উচ্চ মাত্রায় অক্সলেট আছে), উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ডি, অন্ত্রের বাইপাস সার্জারি এবং বিভিন্ন ধরণের গ্রহণ বিপাকীয় সমস্যার কারণে প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম ঘণীভূত হয়। ক্যালসিয়াম পাথর অনেক সময় ক্যালসিয়াম ফসফেট আকারেও হয়।
2. স্ট্রুভাইট পাথর (Struvite Stone) : সাধারণত মূত্রাধারে (Urineary tarct) সংক্রমণের কারণে Struvite stone হয়। এগুলো খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং বেশ বড় হয়।০
3. ইউরিক এসিড পাথর (Urine Acid Stones) : যাদের পানিশূন্যতা আছে, উচ্চ আমিষযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করে এবং গেঁটে বাত (Gout) আছে তাদের এই পাথর হয়। এছাড়া জীনগত কিছু কারণে এবং রক্তের কলায় সমস্যা থাকলেও এই পাথর হয়।
4. সিস্টিন পাথর (Cystine Stone) : সাধারণত বংশগত কোন সমস্যার কারণে এই পাথর হয়। এর ফলে কিডনি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ এমিনো এডিস বের হয়ে যায়।
5. এছাড়া কিডনিতে অন্যান্য ধরণের পাথরও হয়ে থাকে।

কিডনিতে পাথর হলে অবশ্যই চিকিসরকের পরমামর্শ নিন। এমন বহু পাথর হয় যা বার করতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। এই পরামর্শগুলি আপনাকে কিডনিতে পাথর হওয়ার হাত থেকে অনেকটা বাঁচাবে। কিন্তু একবার পাথর হয়ে গেলে অবশ্য দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।
kidney stones
কিডনিতে পাথর

kidney stones
কিডনিতে পাথর

Ipecac