যখন প্রলাপস প্রবলেম দেখা দেয় তখন সাধারণত ভ্যাজাইনা (যোনিপথ) এর মধ্যে ভারী কিছু অনুভূত হয়। তলপেট ভারী ভারী লাগে, কোমরে, পিঠে ব্যথা হয়। এ লক্ষণগুলো নিয়ে ডাক্তারের কাছে এলে, ডাক্তার প্রলাপস ধারনা করে এবং নির্ণয় করে যে তার প্রলাপস কত ডিগ্রি বর্তমান।
*** প্রলাপস সাধারণত তিন স্তরে হতে পারে:-
** প্রথম পর্যায়ের প্রলাপস এ কিছু কস্টের লক্ষন দেখা দেয় এবং ডাক্তার বলে দেন আপনি ভারী জিনিস ওঠাবেন না, তা এক পর্যায় ভালো হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রলাপস হয় আর রোগী যদি তরুণ হয়, তার পারিবারিক জীবন যদি পূর্ণ না হয়, তখন ডাক্তার একটি অস্ত্রোপচার করে। যতটুকু বের হয়েছে, একে কেটে ছোট করে ফেলে। এর পর ডাক্তারগণ তাকে পরামর্শ দেয়। পরে বাচ্চা নিলে অ্যাবোরশন (গর্ভপাত) হয়ে যেতে পারে। তবে অ্যাবোরশনেরও (গর্ভপাত) একটি চিকিৎসা আছে। তখন ডাক্তার একটি পদ্ধতিতে মুখকে বেঁধে দেয়, যেন বাচ্চাটি পড়ে না যায়।
তৃতীয় পর্যায়ে হলে একে ডাক্তারগণ ফেলে দিতে পরামর্শ দেয়।
অল্প বয়সেও প্রলাপস হয়। ভারী কাজ করলে অনেক সময় অবিবাহিত মেয়েদেরও প্রলাপস হতে পারে। সুতরাং তাদেরও এ রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রিয় পাঠক,
দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রলাপসে চিকিৎসা করে সুস্থ হলেও অনেক জটিলতা রয়ে যায়। তার মধ্যে একটি হলো, অ্যাবোরশন (গর্ভপাত) হতে পারে।
# তৃতীয় পর্যায়ে জটিলতা হয়ে অনেক কিছু হতে পারে।
তার মধ্যে কিছু জটিলতা উল্লেখ করা হল।
1. বেঁধে দেয়া ইউটেরাল নেমে যেতে পারে।
2. হেমোরেজ হতে পারে।
3. ভ্যাজাইনা ছোট হতে পারে।
প্রিয় পাঠক, যে কোন ডিগ্রি ইউটেরাল প্রলাপস, ঔষধ সেবন করে, অপারেশন ছাড়াই সুস্থ হতে পারেন।