মাথা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মাথা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০

ছয় প্রকার মাথা ব্যথা জেনে রাখা ভালো


ছয় প্রকার মাথা ব্যথা জেনে রাখা ভালো।


টেনশন টাইপ হেডেক।
সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার নাম হলো টেনশন টাইপ হেডেক (TTH) । টি.টি. এইচ. সারা মাথাজুড়ে হয় এবং খুব একটা তীব্র না হলেও সারাক্ষণ থাকে। চলাফেরায় এ ব্যথা বাড়ে না। সকালের দিকে এই ব্যথা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর তীব্রতা বাড়তে থাকে। ক্লান্তি, অবসাদ, ঘুমের ব্যঘাত এই ব্যথা বেড়ে যায়।

মাইগ্রেন

মাইগ্রেন মাথা ব্যথা ছেলেদের থেকে মেয়েদের বেশি হয়। সাধারণত মাথার একপাশে এ ব্যথা অনুভুত হয়। এটি টি.টি. এইচ এর মতো সারাক্ষণ চিনচিন করে না বরং থেমে থেমে হয় এবং সেটা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়।

মনে হয়, কে যেন কিছুক্ষণ পর পর হাতুড়ি দিয়ে পিটাচ্ছে মাথা বরাবর। আলোয় ও শারীরিক পরিশ্রমে এ ব্যথা বাড়ে তাই রোগী চুপচাপ অন্ধকার ঘরে শুয়ে থাকতে ভালোবাসে। কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত মাইগ্রেন পেইন থাকতে পারে। কিছুটা জেনেটিক বলে পরিবারের কারো থাকলে মাইগ্রেন হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ক্লাস্টার হেডেক

সাধারণত চোখ বরাবর এ ব্যথা হয়। একটা নির্দিষ্ট সময় হয়, এবং দিনে কয়েকবার হয়। ক্লাস্টার হেডেক এ চোখ লাল হয়, চোখ দিয়ে পানি পড়ে, চোখের দৃষ্টিতেও সামান্য ব্যঘাত হয়। দিনে রাতে একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর হয়, নির্দিষ্ট সময় নিয়ে থাকে তাই একে ক্লাস্টার হেডেক বলে।

সাইনাস

নাকের দু’পাশের হাড়ে ও কপালের হাড়ের ভেতর ছোট ছোট কিছু ফাঁকা জায়গা থাকে। এগুলোকে সাইনাস বলে। এতে বাতাস থাকে এবং এই বাতাস ব্রেইনের ভারের সাম্যতা রাখে।

হাড়ের ভেতর এসব সাইনাসের আবরণে প্রদাহ হলে বাতাস ও সর্দি জমে থাকে। এর ফলে সাইনাসগুলো বরাবর তীব্র ব্যথা হয়। এটাই সাইনুসাইটিস ব্যথা নামে সাইনাস হেডেক নামে পরিচিত। এ ব্যথার সঙ্গে সর্দি হাঁচি কাশি থাকে।

ক্রনিক ডেইলি হেডেক

মাসের প্রতিদিনই চিন চিন করে মাথাব্যথা হওয়াকে ক্রনিক ডেইলি হেডেক বলে।

মেয়েদের শরীরের হরমোনের তারতম্যের জন্যে প্রায়ই মাথাব্যথা হয়। একে হরমোনাল হেডেক বলে। সাধারণত মাসিকের সময় বা আগে পরে ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে যায় বলে এই ব্যথা হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় ও হরমোনের তারতম্যের জন্যে মাথাব্যথা হয়।

সেক্সুয়েল হেডেক

স্বামী-স্ত্রীর মিলনের সময় বা আগে ও পরে মাথাব্যথা হতে পারে। এর নাম সেক্সুয়াল হেডেক। সাধারণত প্রচণ্ড এক্সারশনে এ ব্রেইনে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে এ ধরনের ব্যথা হয়। এ ব্যথা খুব একটা তীব্র হয় না। এবং সেরে যায় কিছুক্ষণের মধ্যে।

তবে শারীরিক মিলনে হঠাৎ যদি কখনও তীব্র মাথাব্যথা হয় সেই সঙ্গে বমি ভাব, খিচুনি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে, কারণ রক্তনালির ত্রুটির (এনিউরিজম/ম্যালফরমেশন) জন্যে এ ব্যথা তীব্রতর হয় এবং এ থেকে অনেক সময় স্ট্রোক হয়ে মৃত্যু হতে পারে।

এক্সারশন ছাড়া স্বামী-স্ত্রীর মিলনে ছন্দপতন থাকলেও অনেক সময় মাথাব্যথা হয়। সাধারণত মেয়েদের এ ব্যথা বেশি হয়। এ ব্যথাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়া হয় না। অথচ স্বামী-স্ত্রীর শুধুমাত্র মিলনের ছন্দপতনে ধীরে ধীরে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং ডিভোর্স হয়ে যায়।

অতিরিক্ত চা বা কফি পানে যেমন মাথাব্যথা হয় তেমনি অনেক সময় চা বা কফি পান থেকে বিরত থাকলেও মাথাব্যথা হয়।

কখনও কখনও কোনো কারণ ছাড়াই মাথাব্যথা হয়। কেবল মন খারাপ থাকলেও মাথাব্যথা হয়। একে সাইকোজেনিক পেইন বলে এবং এ সাইকোলজিকেল পেইনের সাইকোলজিক্যাল কারণ থাকে। সাইকিয়াট্রিক কাউনসেলিং ব্যতীত কখনোই এই ব্যথা সারার নয়।

দুই.
মাথাব্যথা অবহেলা করা ঠিক নয়। মামুলি কারণে যেমন মাথাব্যথা হয় তেমন অনেক বড় রকমের অসুখ-বিসুখের জন্যেও মাথাব্যথা হয়। তাই মাথাব্যথা কারণ সঠিকভাবে নিরুপণ, পুরোপুরি হিস্ট্রি নেয়া এবং যথাযথ চিকিৎসার জন্যে অবশ্যই মাথাব্যথাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

বুধবার, ২২ এপ্রিল, ২০২০

মাথাব্যথা কী?

মাথাব্যথা কী?



মাথা ও ঘাড় বরাবর  যে ব্যথা হয় সেটাই মাথাব্যথা নামে প‌রি‌চিত। 

মাথাব্যথার প্রধান কারণ
১: ব্রেইন ও হাড়ের আবরণ তার চারপাশের রক্তনালি।
২: নার্ভ তাদের আবরণ।
৩: মাথার চামড়ার নিচের মাংসপেশি।
৪:  চোখ।
৫:  সাইনাস।
৬:  কান।
৭:  ঘাড়ের মাংসপেশির  প্রদাহ ।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রায় 150 প্রকারের মাথাব্যথা আছে। প্রত্যে‌কটি মাথাব্যথার আলাদা আলাদা কারণ আ‌ছে। অনেকের ভুল ধারণা আছে যে, মাথাব্যথা মানেই হাইপ্রেশার বা ব্রেইনের ক্যানসার। আসলে বিষয়‌টি এমন নয়।

মাথার একেক পাশের ব্যথার কারণ  এ‌কেকটা। যেমন:-
 # মাইগ্রেনের ব্যথা সাধারণত মাথার এক দিকে হয়। 
# আবার টেনশন টাইপ ব্যথা হয় সাধারণত পুরো মাথা জুড়ে হয়।
# ক্লাস্টার মাথাব্যথা হয় চোখের ভেতর আর সাইনাস প্রদাহের জন্যে সাইনাস ব্যথা হয় নাকের পাশ বরাবর ও কপালের ভেতর।

  •  টেনশন টাইপ হেডেক।
  • মাইগ্রেন।
  • ক্লাস্টার হেডেক।
  • সাইনাস।
  • ক্রনিক ডেইলি হেডেক।
  • সেক্সুয়েল হেডেক।

Migraines, primary headache-Tension headaches-Cluster headaches-Exertional headaches-Hypnic headaches.
Headaches

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ব্রেইন স্ট্রোক

ব্রেইন স্ট্রোক

মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত প্রবাহ হ্রাস পেলে মস্তিষ্কের কোষকলার মৃত্যু ঘটে এবং শরীরের স্বাভাবিক কার্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি হয়। মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ আকস্মিকভাবে হ্রাস পাওয়াকেই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা ব্রেইন স্ট্রোক বলা হয়।

ব্রেইন স্ট্রোকের কারনে-ব্রেন ড্যামেজ, প্যারালাইসিস এবং মৃত্যুও হতে পারে।
স্ট্রোক হওয়ার আগে স্ট্রোকের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। লক্ষণ গুলো চিনতে পারলে এবং দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারলে রোগীকে মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব৷ নিম্নে কিছু ব্রেইন স্ট্রোকের লক্ষণ উল্লেখ করা হলো।
 মুখের অর্ধেক অবশ হয়ে পড়া:
যদি হঠাৎ করেই মুখের অর্ধেক নাড়াতে না পারেন বা মুখের অর্ধেক পুরোপুরি অবশ হয়ে পড়ে তাহলে তা স্ট্রোকের স্পষ্ট একটি লক্ষণ। যখন আপনার মুখের মাংসপেশিতে রক্ত সরবরাহকারী স্নায়ুগুলো অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়,তখন এমনটা ঘটে।
বাহুর দুর্বলতা:
স্ট্রোকের আরেকটি স্পষ্ট লক্ষণ হলো কোনো একটি বাহুতে এমন দুর্বলতা বা অবশ হওয়া যে আপনি তা মাথার ওপর টেনে তুলতে পারছেন না।
 কথায় অস্পষ্টতা:
যদি হঠাৎ করেই কথা বলার সময় অস্পষ্ট আওয়াজ করতে থাকেন তাহলে তা স্ট্রোকের লক্ষণ। মস্তিষ্কের কথা বলা এবং যোগাযোগের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণকারী অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এমনটা হচ্ছে । 
 শরীরের একপাশে দুর্বলতা বা প্যারালাইসিস:
দেহের কিছু অংশ বা অর্ধেকটাজুড়ে দুর্বলতা বা প্যারালাইসিস এর মধ্য দিয়েও স্ট্রোকের লক্ষণ ফুটে ওঠে। এমন লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই হাসাতাল ও ডাক্তারে কাছে যেতে হবে।
মাংসপেশিতে খিল ধরা:
যদি মাংসপেশির স্নায়ুগুলোর রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আপনার দেহের এক বা একাধিক জায়গায় মাংসপেশি শক্ত হয়ে আসবে। দেহের যে কোনো অর্ধেক অংশেই সাধারণত এমনটা ঘটতে পারে। 
তীব্র মাথাব্যথা-
আপনি যদি আগের যে কোনো মাথা ব্যথার তুলনায় অনেক বেশি তীব্র মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হন তাহলে বুঝতে হবে আপনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। 
দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া:
স্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ হলো কোনো একটি চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা। মস্তিষ্কের যে অংশ দৃষ্টি সম্বন্ধীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে সে অংশে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে এমনটা ঘটতে পারে।

প্রিয় পাঠক, সময় দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
এধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে পারেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার দ্বারা এধরনের বহু রোগী সুস্থ হয়েছে।
brain-stroke
brain stroke


Ipecac