বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

কিডনিতে পাথর হয়েছে কি করে বুঝবেন?

কিডনিতে পাথর হয়েছে কি করে বুঝবেন?



কিডনিতে পাথর হলে সাধারণত: যেসব লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো দেখা দেয়:
1. পিঠে, দুই পাশে এবং পাঁজরের নিচে ব্যথা হওয়া ও তলপেট এবং কুঁচকিতে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া
2. প্রস্রাব ত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া 
3.প্রস্রাবের রঙ গোলাপী, লাল অথবা বাদামী হওয়া
4. বারবার প্রস্রাবের বেগ পাওয়া
5. যদি কোন সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে জ্বর এবং কাঁপুনী হওয়া
6. বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া

কিডনির পাথর কয়েক ধরণের হয়

1. ক্যালসিয়াম পাথর (Calcium stones) : বেশিরভাগ কিডনির পাথর ক্যালসিয়াম পাথর। সাধারণত খাদ্য ব্যবস্থা (কিছু কিছু শাক-সবজি, ফলমূল, বাদাম এবং চকলেট উচ্চ মাত্রায় অক্সলেট আছে), উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ডি, অন্ত্রের বাইপাস সার্জারি এবং বিভিন্ন ধরণের গ্রহণ বিপাকীয় সমস্যার কারণে প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম ঘণীভূত হয়। ক্যালসিয়াম পাথর অনেক সময় ক্যালসিয়াম ফসফেট আকারেও হয়।
2. স্ট্রুভাইট পাথর (Struvite Stone) : সাধারণত মূত্রাধারে (Urineary tarct) সংক্রমণের কারণে Struvite stone হয়। এগুলো খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং বেশ বড় হয়।০
3. ইউরিক এসিড পাথর (Urine Acid Stones) : যাদের পানিশূন্যতা আছে, উচ্চ আমিষযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করে এবং গেঁটে বাত (Gout) আছে তাদের এই পাথর হয়। এছাড়া জীনগত কিছু কারণে এবং রক্তের কলায় সমস্যা থাকলেও এই পাথর হয়।
4. সিস্টিন পাথর (Cystine Stone) : সাধারণত বংশগত কোন সমস্যার কারণে এই পাথর হয়। এর ফলে কিডনি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ এমিনো এডিস বের হয়ে যায়।
5. এছাড়া কিডনিতে অন্যান্য ধরণের পাথরও হয়ে থাকে।

কিডনিতে পাথর হলে অবশ্যই চিকিসরকের পরমামর্শ নিন। এমন বহু পাথর হয় যা বার করতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। এই পরামর্শগুলি আপনাকে কিডনিতে পাথর হওয়ার হাত থেকে অনেকটা বাঁচাবে। কিন্তু একবার পাথর হয়ে গেলে অবশ্য দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।
kidney stones
কিডনিতে পাথর

kidney stones
কিডনিতে পাথর

সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

লিভারে রোগ বুঝবেন জিহ্বা দেখে

 লিভারে রোগ বুঝবেন জিহ্বা দেখে

আমাদের দেশে লিভারের রুগী অনেক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাস সংক্রমণের কারণে লিভারের রোগ হয়ে থাকে। অ্যালকোহল সেবন, ভেজাল খাবার, লিপিড এবং কার্বোহাইড্রেট এর বিপাকক্রিয়ায় অচলাবস্থার কারণেও লিভারের রোগ দেখা দিতে পারে। লিভারের রোগের কারণে অনেক সময়ই মুখে প্রচন্ড দুর্গন্ধ হয়ে বিড়ম্বনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মত লিভারের রোগের সাথে পেরিওডণ্টাল রোগের যোগসূত্র রয়েছে। পেরিওডণ্টাইটিস এর সাথে লিভারের রোগ যেমন নন অ্যালকোহলিক লিভার ডিজিজ, লিভার সিরোসিস এবং হেপাটোসেলুলার কারসিনোমার যোগসূত্র খুজে পাওয়া যায়। অর্থা লিভারে সমস্যা থাকলে এ সব রোগের অবস্থার অবনতি ঘটে থাকে। তাই লিভারের রোগের চিকিসার পাশাপাশি আপনার পেরিওডণ্টাল স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় চিকিসা নিতে হবে।
জিহবা সাদা, ফাটা, হলুদ বর্ন হওয়া, এগুলা আপনার ফ্যাটি লিভার ও হেপাটোমেগালী বা এনলার্জ ( লিভার বড় হওয়া), একটুতেই দাতের রক্তপাত হওয়া লিভারের চিহ্ন বহন করে। দাঁতের রক্তপাত হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ লিভারের রোগ। লিভার ফেইলিউর বা লিভার অকার্যকারিতায় যে সব কারণে রক্ত জমাট বাধতে পারে না সেগুলো হলো-
(ক) ভিটামিন কের বিপাকক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা
(খ) ফিব্রিনোলাইসিসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
(গ) স্বাভাবিক রক্ত জমাট প্রক্রিয়ার উপাদানগুলোর বেশী পরিমাণে শরীর দ্বারা গ্রহণ করা।

উপরোক্ত কারণে রক্তপাত রোধ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এন্টিফিব্রিনোলাইটিক এজেন্ট এবং ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা প্রয়োগ মাঝে মাঝে কার্যকর হয়ে থাকে। আর এর সঙ্গে ভিটামিন কেভূমিকা রাখতে পারে। ক্রনিক লিভারের রোগে সামান্য আঘাতে মাড়ি থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ক্রনিক লিভার ডিজিজে দাঁত ও মাড়িতে সবুজ দাগ এবং এনামেল হাইপোপ্লাসিয়া দেখা যেতে পারে।

হেপাটাইটিস সিভাইরাস সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা একেবারে কম নয়। সংক্রমিত ব্যক্তির রক্ত বা রক্তজাত দ্রব্যের মাধ্যমে এ ভাইরাস সংক্রমণ ঘটে থাকে। যৌন মিলনেও হেপাটাইটিস সি ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। বর্তমানে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে ড্রাগ নেওয়ার মাধ্যমে বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। হেপাটাইটিস সি ভাইরাস লিভারের মারাত্মক ক্ষতি, লিভার ফেইলিউর, লিভার ক্যান্সার এবং এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। এছাড়া ধারণা করা হয় হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের সাথে মুখের অভ্যন্তরের রোগ লাইকেন প্ল্যানাস এবং স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা বা ক্যান্সার এর যোগসূত্র থাকতে পারে। নিরাপদ রক্ত গ্রহণ ও নিরাপদ যৌন মিলনই এটা প্রতিরোধ করতে পারে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস ক্রনিক হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস এবং হেপাটোসেলুলার কারসিনোমা সৃষ্টি করতে পারে।
অন্যদিকে আপনার শরীরে বি ভাইরাস উপস্থিত থাকলে কেবলমাত্র তখনই আপনি ডি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই যথা সময়ে বি ভাইরাসের চিকিৎসা নিন। মনে রাখতে হবে কেবলমাত্র হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস হেপাটোসেলুলার ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। তাই এসব বিষয়ে সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে।

ফাঁটা জিহ্বা-Cracked tongue
ফাঁটা জিহ্বা/Cracked tongue
সাদা জিহ্বা-White tongue
সাদা জিহ্বা/White tongue

Ipecac