শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ব্রেইন স্ট্রোক

ব্রেইন স্ট্রোক

মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত প্রবাহ হ্রাস পেলে মস্তিষ্কের কোষকলার মৃত্যু ঘটে এবং শরীরের স্বাভাবিক কার্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি হয়। মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ আকস্মিকভাবে হ্রাস পাওয়াকেই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা ব্রেইন স্ট্রোক বলা হয়।

ব্রেইন স্ট্রোকের কারনে-ব্রেন ড্যামেজ, প্যারালাইসিস এবং মৃত্যুও হতে পারে।
স্ট্রোক হওয়ার আগে স্ট্রোকের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। লক্ষণ গুলো চিনতে পারলে এবং দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারলে রোগীকে মারাত্মক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব৷ নিম্নে কিছু ব্রেইন স্ট্রোকের লক্ষণ উল্লেখ করা হলো।
 মুখের অর্ধেক অবশ হয়ে পড়া:
যদি হঠাৎ করেই মুখের অর্ধেক নাড়াতে না পারেন বা মুখের অর্ধেক পুরোপুরি অবশ হয়ে পড়ে তাহলে তা স্ট্রোকের স্পষ্ট একটি লক্ষণ। যখন আপনার মুখের মাংসপেশিতে রক্ত সরবরাহকারী স্নায়ুগুলো অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়,তখন এমনটা ঘটে।
বাহুর দুর্বলতা:
স্ট্রোকের আরেকটি স্পষ্ট লক্ষণ হলো কোনো একটি বাহুতে এমন দুর্বলতা বা অবশ হওয়া যে আপনি তা মাথার ওপর টেনে তুলতে পারছেন না।
 কথায় অস্পষ্টতা:
যদি হঠাৎ করেই কথা বলার সময় অস্পষ্ট আওয়াজ করতে থাকেন তাহলে তা স্ট্রোকের লক্ষণ। মস্তিষ্কের কথা বলা এবং যোগাযোগের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণকারী অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এমনটা হচ্ছে । 
 শরীরের একপাশে দুর্বলতা বা প্যারালাইসিস:
দেহের কিছু অংশ বা অর্ধেকটাজুড়ে দুর্বলতা বা প্যারালাইসিস এর মধ্য দিয়েও স্ট্রোকের লক্ষণ ফুটে ওঠে। এমন লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই হাসাতাল ও ডাক্তারে কাছে যেতে হবে।
মাংসপেশিতে খিল ধরা:
যদি মাংসপেশির স্নায়ুগুলোর রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আপনার দেহের এক বা একাধিক জায়গায় মাংসপেশি শক্ত হয়ে আসবে। দেহের যে কোনো অর্ধেক অংশেই সাধারণত এমনটা ঘটতে পারে। 
তীব্র মাথাব্যথা-
আপনি যদি আগের যে কোনো মাথা ব্যথার তুলনায় অনেক বেশি তীব্র মাথা ব্যথায় আক্রান্ত হন তাহলে বুঝতে হবে আপনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। 
দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া:
স্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ হলো কোনো একটি চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা। মস্তিষ্কের যে অংশ দৃষ্টি সম্বন্ধীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে সে অংশে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে এমনটা ঘটতে পারে।

প্রিয় পাঠক, সময় দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
এধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিতে পারেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার দ্বারা এধরনের বহু রোগী সুস্থ হয়েছে।
brain-stroke
brain stroke


প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হওয়া কি?

স্টেট গ্রন্থি বড় হওয়া কি?


পুরুষের মূত্রথলির ঠিক নিচে থাকে প্রোস্টেট গ্রন্থি। বয়স বারার সঙ্গে এই গ্রন্থি আকারে বড় হয়। বিশেষ করে ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের অনেক সময় প্রোস্টেট গ্রন্থি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হয়ে যায়। তখন বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৫০ বছরের পর পুরুষদের প্রোস্টেটে ক্যানসার,প্রদাহ ইত্যাদির ঝুঁকিও বেড়ে যায় বলে সতর্ক থাকাই ভালো। প্রোস্টেট গ্রন্থি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় হওয়াকে চিকিসাশাস্ত্রের ভাষায় হাইপারট্রফি বলে এবং এই রোগকে বলে বিনাইন এনলারজমেন্ট অব প্রোস্টেট বা সংক্ষেপে বিইপি। প্রোস্টেট বড় হওয়া মানেই প্রোস্টেট ক্যানসার নয়। 

প্রোস্টেট বড় হওয়ার লক্ষণ:
1. বয়স্ক পুরুষদের প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণে অক্ষমতা বা প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা।
2. প্রস্রাবের ধারা দুর্বল হওয়া।
3. ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হওয়া।
4. প্রস্রাব একবারে পরিষ্কার না হওয়ার দরুন রাতে বারবার ওঠা।
5. মাঝে মাঝে প্রস্রাবের ধারা একবারে বন্ধ হওয়া এবং আবার শুরু হওয়া ইত্যাদিত উদ্ভব পরিস্থিতির শিকার হতে পারে। 
6 প্রস্রাব করার পর প্রস্রাবের থলিতে আরও প্রস্রাব রয়ে গেছে এমন অস্বস্তিকর অনুভূতি হওয়া। 
এধরনের লক্ষণ টের পেলে চিকিসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।

চিকিসা
প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধির চিকিসার কিছু পর্যায় রয়েছে। প্রথম দিকে প্রস্রাবের ধারা মুক্ত রাখতে বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে উপসর্গের উন্নতি হয়। কিছু দিন পর আবার প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার মত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এক পর্যায় কোন উন্নত না হলে অস্ত্রোপচার করে। 
প্রিয়পাঠক, প্রোস্টেট সমস্যা হোমিওপ্যাথিক চিকিসা করলে বিনা অপারেশনে ভালো হয়ে যায়। এধরনের আপডেট পেতে আমাদের  সংগে থাকুন ।
prostate gland
prostate gland

prostate gland
prostate 

Ipecac