সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

লিভারে রোগ বুঝবেন জিহ্বা দেখে

 লিভারে রোগ বুঝবেন জিহ্বা দেখে

আমাদের দেশে লিভারের রুগী অনেক। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাস সংক্রমণের কারণে লিভারের রোগ হয়ে থাকে। অ্যালকোহল সেবন, ভেজাল খাবার, লিপিড এবং কার্বোহাইড্রেট এর বিপাকক্রিয়ায় অচলাবস্থার কারণেও লিভারের রোগ দেখা দিতে পারে। লিভারের রোগের কারণে অনেক সময়ই মুখে প্রচন্ড দুর্গন্ধ হয়ে বিড়ম্বনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মত লিভারের রোগের সাথে পেরিওডণ্টাল রোগের যোগসূত্র রয়েছে। পেরিওডণ্টাইটিস এর সাথে লিভারের রোগ যেমন নন অ্যালকোহলিক লিভার ডিজিজ, লিভার সিরোসিস এবং হেপাটোসেলুলার কারসিনোমার যোগসূত্র খুজে পাওয়া যায়। অর্থা লিভারে সমস্যা থাকলে এ সব রোগের অবস্থার অবনতি ঘটে থাকে। তাই লিভারের রোগের চিকিসার পাশাপাশি আপনার পেরিওডণ্টাল স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। এবং প্রয়োজনীয় চিকিসা নিতে হবে।
জিহবা সাদা, ফাটা, হলুদ বর্ন হওয়া, এগুলা আপনার ফ্যাটি লিভার ও হেপাটোমেগালী বা এনলার্জ ( লিভার বড় হওয়া), একটুতেই দাতের রক্তপাত হওয়া লিভারের চিহ্ন বহন করে। দাঁতের রক্তপাত হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ লিভারের রোগ। লিভার ফেইলিউর বা লিভার অকার্যকারিতায় যে সব কারণে রক্ত জমাট বাধতে পারে না সেগুলো হলো-
(ক) ভিটামিন কের বিপাকক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা
(খ) ফিব্রিনোলাইসিসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
(গ) স্বাভাবিক রক্ত জমাট প্রক্রিয়ার উপাদানগুলোর বেশী পরিমাণে শরীর দ্বারা গ্রহণ করা।

উপরোক্ত কারণে রক্তপাত রোধ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এন্টিফিব্রিনোলাইটিক এজেন্ট এবং ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা প্রয়োগ মাঝে মাঝে কার্যকর হয়ে থাকে। আর এর সঙ্গে ভিটামিন কেভূমিকা রাখতে পারে। ক্রনিক লিভারের রোগে সামান্য আঘাতে মাড়ি থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ক্রনিক লিভার ডিজিজে দাঁত ও মাড়িতে সবুজ দাগ এবং এনামেল হাইপোপ্লাসিয়া দেখা যেতে পারে।

হেপাটাইটিস সিভাইরাস সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা একেবারে কম নয়। সংক্রমিত ব্যক্তির রক্ত বা রক্তজাত দ্রব্যের মাধ্যমে এ ভাইরাস সংক্রমণ ঘটে থাকে। যৌন মিলনেও হেপাটাইটিস সি ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। বর্তমানে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে ড্রাগ নেওয়ার মাধ্যমে বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। হেপাটাইটিস সি ভাইরাস লিভারের মারাত্মক ক্ষতি, লিভার ফেইলিউর, লিভার ক্যান্সার এবং এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। এছাড়া ধারণা করা হয় হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের সাথে মুখের অভ্যন্তরের রোগ লাইকেন প্ল্যানাস এবং স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা বা ক্যান্সার এর যোগসূত্র থাকতে পারে। নিরাপদ রক্ত গ্রহণ ও নিরাপদ যৌন মিলনই এটা প্রতিরোধ করতে পারে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস ক্রনিক হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস এবং হেপাটোসেলুলার কারসিনোমা সৃষ্টি করতে পারে।
অন্যদিকে আপনার শরীরে বি ভাইরাস উপস্থিত থাকলে কেবলমাত্র তখনই আপনি ডি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই যথা সময়ে বি ভাইরাসের চিকিৎসা নিন। মনে রাখতে হবে কেবলমাত্র হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস হেপাটোসেলুলার ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। তাই এসব বিষয়ে সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে।

ফাঁটা জিহ্বা-Cracked tongue
ফাঁটা জিহ্বা/Cracked tongue
সাদা জিহ্বা-White tongue
সাদা জিহ্বা/White tongue

বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৯

চুলের যত্নে কালিজিরার তেল অনেক উপকারী

চুলের যত্নে কালিজিরার তেল অনেক উপকারী

তবে অনেক বেশী উপকারি, এই বীজের ব্যপারে জানা থাকা ভাল, সময় মত কাজে দিবে ইনশা আল্লাহ।সপ্তাহে এক বা দুই দিন কালিজিরার তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। পাবেন অনেক ধরনের উপকার।
*** শুষ্ক চুলের জন্য ডিমের সাদা অংশের সাথে সামান্য কালিজিরার তেল মিশিয়ে লাগালে চুলের শুষ্কতা কমে আসে।
*** নিয়ম করে সপ্তাহে ২ বার এই তেল দিয়ে চুলের যত্ন করলে চুলের সজীবতা ফিরে আসে।
*** নতুন চুল গজানোর জন্য ১:১ অনুপাতে অলিভ অয়েল এবং কালিজিরার তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। এর পর একটি নরম তোয়ালে কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে এবং পানি নিংড়ে পুরো চুল মুড়িয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন ৪০ থেকে ১ ঘন্টা সময়ের জন্য। নিয়ম করে সপ্তাহে ২ বার এভাবে চুলের যত্ন নিলে নতুন চুল গজায়।
*** চুলের দৈর্ঘ্য বাড়াতেও এই তেল উপকারে আসে।
*** এই তেল চুলের উকুন কমাতেও সাহায্য করে।
অনেকেরই চুল পড়া, দুর্বল চুল, শুষ্ক চুল ইত্যাদি নানা রকম সমস্যা থাকে।
*** ১৯৬০ সালে মিসরের গবেষকরা নিশ্চিত হন যে, কালিজিরায় বিদ্যমান নাইজেলনের কারণে হাঁপানি উপশম হয়।
*** জার্মানি গবেষকরা বলেন, কালিজিরার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-মাইকোটিক প্রভাব রয়েছে। এটি বোনম্যারো ও প্রতিরক্ষা কোষগুলোকে উত্তেজিত করে এবং ইন্টারফেরন তৈরি বাড়িয়ে দেয়।
*** আমেরিকার গবেষকরা প্রথম কালিজিরার টিউমারবিরোধী প্রভাব সম্পর্কে মতামত দেন। শরীরে ক্যান্সার উত্‍পাদনকারী ফ্রি-রেডিক্যাল অপসারিত করতে পারে কালিজিরা।
*** মোটকথা, কালিজিরা সব ধরনের রোগের বিরুদ্ধে তুলনাহীন।
আসুন জেনে নিই কালিজিরার এমন কিছু ব্যবহার, যেগুলো একেবারেই অপ্রচলিত।
১. স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে
কালিজিরা মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে আধা চা চামচ কাঁচা কালিজিরা অথবা ১ চা চামচ কালিজিরার তেল খান।
২. চুল পড়া রোধে
কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুল পড়া রোধ করে এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ কালিজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৩. ব্যথা কমাতে
যেকোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কালিজিরার জুড়ি নেই। কালিজিরার তেল হালকা গরম করে নিয়ে ব্যথার জায়গায় মালিশ করুন, ব্যথা সেরে যাবে। বিশেষ করে বাতের ব্যথায় বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।
৪. ফোঁড়া সারাতে
ব্যথাযুক্ত ফোঁড়া সারাতে কালিজিরা সাহায্য করে। তিলের তেলের সাথে কালিজিরা বাটা বা কালিজিরার তেল মিশিয়ে ফোঁড়াতে লাগালে ব্যথা উপশম হয় ও ফোঁড়া সেরে যায়।
৫. মেদ কমাতে
চায়ের সাথে কালিজিরা মিশিয়ে পান করলে তা বাড়তি মেদ ঝরে যেতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে পানি নিয়ে চুলার ওপরে দিন। পানি ফুটে উঠলে চাপাতা ও সমপরিমাণ কালিজিরা পানিতে দিন। চায়ের রং হয়ে এলে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সাধারণ চায়ের মতোই পান করুন।
৬. দাঁতের ব্যথায়
দাঁত ব্যথা হলে, মাঢ়ি ফুলে গেলে বা রক্ত পড়লে কালিজিরা তা উপশম করতে পারে। পানিতে কালিজিরা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই পানির তাপমাত্রা কমে উষ্ণ অবস্থায় এলে তা দিয়ে কুলি করুন। এতে দাঁত ব্যথা কমে যাবে, মাঢ়ির ফোলা বা রক্ত পড়া বন্ধ হবে। এছাড়া জিহ্বা, তালু ও মুখের জীবাণু ধ্বংস হবে।
৭. মাথা ব্যথায়
ঠাণ্ডাজনিত মাথাব্যথা দূর করতে কালিজিরা সাহায্য করে। একটি সুতি কাপড়ের টুকরায় খানিকটা কালিজিরা নিয়ে পুঁটুলি তৈরি করুন। এই পুঁটুলি নাকের কাছে নিয়ে শ্বাস টানতে থাকুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা সেরে যাবে।
কালোজিরা

Ipecac