বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

পায়ুপথের রোগ এনাল ফিসার

পায়ুপথের রোগ এনাল ফিসার


এনাল ফিসার হচ্ছে এমন একটি রোগ যার কথা সহজে কাউকে বলা যায় না, আবার সহ্যও করা যায় না, রোগী সর্বক্ষণ যন্ত্রণায় অস্থির থাকেন। হাঁটতে পারেন না, বসতে পারেন না, টয়লেট করতে পারেন না যন্ত্রণার ভয়ে। এনাল ফিসার হচ্ছে পায়ুপথের একটি রোগ। পায়ুপথের সব রোগকেই সাধারণ মানুষ পাইলস মনে করে, কিন্তু পাইলস ছাড়াও এখানে আরও অনেক ধরনের রোগ হয়, এনাল ফিসার তাদের মধ্যে একটি। এনাল ফিসার কি? খুব সহজ ভাষায় এনাল ফিসার হচ্ছে পায়ুপথ ছিঁড়ে যাওয়া। সাধারণত প্রবল কোষ্ঠ কাঠিন্য হলে অথবা যথাযথ প্রক্রিয়ায় টয়লেট না করলে শক্ত মল অথবা অতিরিক্ত চাপে পায়ুপথ একটুখানি ছিঁড়ে যেতে পারে।লক্ষণ : যেহেতু পায়ুপথ অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা ছিঁড়ে যাওয়ার পর মলত্যাগ করলেই তীব্র ব্যথা শুরু হয়। সেই ব্যথা কারও আধা ঘণ্টা, কারও সারা দিন স্থায়ী হয়। সে ব্যথা সারা তলপেটে ও পায়ে ছড়িয়ে যেতে পারে। সঙ্গে চুলকানি ও এক ধরনের অস্বস্তি হতে পারে। রোগী ব্যথার ভয়ে টয়লেটে যেতে চান না, ফলে কোষ্ঠ আরও কঠিন হয়ে পড়ে এবং পরবর্তী মলত্যাগে ব্যথা আরও বাড়ে। বিষয়টি দুষ্টচক্রের মতো চলতে থকে। আর একটি উপসর্গ রক্ত যাওয়া, এনাল ফিসারে রক্ত বেশি যায় না, মলের গায়ে কিংবা টিস্যু পেপারে দেখা যায় দু-এক ফোঁটা রক্ত কমোডেও দেখা যেতে পারে।চিকিসা : প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু স্থানিক মলম, মল নরমের ওষুধ ইত্যাদি ব্যবহার করলে ভালো হয়ে যায়। আর যাদের এসবে হয় না তাদের ছোট অথচ গুরুত্বপূর্ণ একটি অপারেশন করতে হয়। এই অপারেশন এত ছোট যে রোগী চাইলে দিনে দিনে বাড়ি চলে যেতে পারেন। যথাযথভাবে এই অপারেশন হলে এই রোগ আর দেখা দেয় না। এই রোগ লালন না করে যথাযথ চিকিসা নেওয়া উত্তম। কারণ প্রতিকার নয় প্রতিরোধ উত্তম।*** হোমিওপ্যাথিতে এর পরিপূর্ন চিকিসা ব্যবস্তা আছে। এবং সার্জারির প্রয়োজন হয় না, এমন কি কয়েকবার অপারেশনের পরেও আবার দেখা দেয়া এনাল ফিসারের সফল চিকিসা আমাদের মাদানি হোমিওপ্যাথিক ইন্টারন্যাশনাল হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ
anal fissure
এনাল ফিসার

কিডনিতে পাথর হয়েছে কি করে বুঝবেন?

কিডনিতে পাথর হয়েছে কি করে বুঝবেন?



কিডনিতে পাথর হলে সাধারণত: যেসব লক্ষণ ও উপসর্গ গুলো দেখা দেয়:
1. পিঠে, দুই পাশে এবং পাঁজরের নিচে ব্যথা হওয়া ও তলপেট এবং কুঁচকিতে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া
2. প্রস্রাব ত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া 
3.প্রস্রাবের রঙ গোলাপী, লাল অথবা বাদামী হওয়া
4. বারবার প্রস্রাবের বেগ পাওয়া
5. যদি কোন সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে জ্বর এবং কাঁপুনী হওয়া
6. বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া

কিডনির পাথর কয়েক ধরণের হয়

1. ক্যালসিয়াম পাথর (Calcium stones) : বেশিরভাগ কিডনির পাথর ক্যালসিয়াম পাথর। সাধারণত খাদ্য ব্যবস্থা (কিছু কিছু শাক-সবজি, ফলমূল, বাদাম এবং চকলেট উচ্চ মাত্রায় অক্সলেট আছে), উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ডি, অন্ত্রের বাইপাস সার্জারি এবং বিভিন্ন ধরণের গ্রহণ বিপাকীয় সমস্যার কারণে প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম ঘণীভূত হয়। ক্যালসিয়াম পাথর অনেক সময় ক্যালসিয়াম ফসফেট আকারেও হয়।
2. স্ট্রুভাইট পাথর (Struvite Stone) : সাধারণত মূত্রাধারে (Urineary tarct) সংক্রমণের কারণে Struvite stone হয়। এগুলো খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং বেশ বড় হয়।০
3. ইউরিক এসিড পাথর (Urine Acid Stones) : যাদের পানিশূন্যতা আছে, উচ্চ আমিষযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করে এবং গেঁটে বাত (Gout) আছে তাদের এই পাথর হয়। এছাড়া জীনগত কিছু কারণে এবং রক্তের কলায় সমস্যা থাকলেও এই পাথর হয়।
4. সিস্টিন পাথর (Cystine Stone) : সাধারণত বংশগত কোন সমস্যার কারণে এই পাথর হয়। এর ফলে কিডনি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ এমিনো এডিস বের হয়ে যায়।
5. এছাড়া কিডনিতে অন্যান্য ধরণের পাথরও হয়ে থাকে।

কিডনিতে পাথর হলে অবশ্যই চিকিসরকের পরমামর্শ নিন। এমন বহু পাথর হয় যা বার করতে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। এই পরামর্শগুলি আপনাকে কিডনিতে পাথর হওয়ার হাত থেকে অনেকটা বাঁচাবে। কিন্তু একবার পাথর হয়ে গেলে অবশ্য দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।
kidney stones
কিডনিতে পাথর

kidney stones
কিডনিতে পাথর

Ipecac