লাইপোমা / Lipoma
লাইপোমা
একটি নির্দোষ টিউমার যা চর্বিযুক্ত টিস্যু দিয়ে গঠিত। নরম টিস্যু টিউমারগুলোর
মধ্যে লাইপোমা হচ্ছে সবচেয়ে সাধারণ ধরন।
সাধারণত নড়ানো চড়ানো যায় এবং সাধারণভাবে
এগুলো ব্যথাহীন। অনেক লাইপোমা ছোট আকারের, সাধারণত এক
সেন্টিমিটার ব্যাসের কম; কিন্তু কোনো কোনো লাইপোমা ছয় সেন্টিমিটারের
চেয়ে বড় আকারের হতে পারে। সাধারণত ৪০
থেকে ৬০ বছর বয়সে লাইপোমা বেশি দেখা দেয়, তবে
শিশুদেরও এটা হতে পারে। কারও কারও মতে লাইপোমা ক্যান্সারে রূপান্তর ঘটতে পারে।৷
তবে টিউমার
বলতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি বিশেষ অবস্থাকে বোঝান হয়েছে। শরীরের যে কোনো স্থানে কোষসমূহ যদি ধীরে ধীরে বা দ্রুততার সঙ্গে অস্বাভাবিক ও অসামঞ্জস্যভাবে ফুলে ওঠে বা এক কথায় টিউমার হলো মূল দেহ কোষের রূপান্তর বা নতুন কোষের সংযোজন।
তবে কি কারণে মানবদেহে এমন টিউমার বা ক্যান্সার হয় তার কারণ জানা যায়নি। আমাদের
দেশে বেশ কিছু পরিচিত টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।
টিউমার তিন প্রকার
:-
১/ হিস্টোম।
২/ সাইটোমা।
৩/ টেরাটোমা।
হিস্টোমা টিউমার আবার দুই প্রকার
১। বিনাইন, এ জাতীয় টিউমার তুলতুলে নরম হয় এবং শক্ত হয়
না। খুব আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায়। এর কোনো আবরণ থাকে না। এর উপরের চর্ম আলাদা পৃথক
মনে হয়। এ টিউমারের সংলগ্ন গ্রন্থিসমূহ আক্রান্ত হয় না। চাপ দিলে এতে কোনো
যন্ত্রণা অনুভূত হয় না।
২/
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ;- এটা নিরেট বা শক্ত হয়। এটা খুব দ্রুত বড় হয়। এতে আবরণ থাকে। এটার উপরের চর্ম
আলাদা পৃথক মনে হয় না। এ টিউমার সংলগ্ন গ্রন্থিসমূহ আক্রান্ত হয়। চাপ দিলে এতে
যন্ত্রণা অনুভূত হয়। এতে আঘাত করলে বা অস্ত্রোপচার করলে ক্ষতি হয়। অস্ত্রোপচার
করলে পরে প্রায়ই ক্যান্সার হতে দেখা যায়।
চিকিৎসা পদ্ধতি :-টিউমারের সাধারণ চিকিৎসা অপারেশন। কিন্তু অনেক সময় টিউমার অপারেশন করলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমার অপারেশন করা নিরাপদ নয়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে সব রকম টিউমারকে আরোগ্য করা সম্ভব ।
লাইপোমা / Lipoma