বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৯

চুলের যত্নে কালিজিরার তেল অনেক উপকারী

চুলের যত্নে কালিজিরার তেল অনেক উপকারী

তবে অনেক বেশী উপকারি, এই বীজের ব্যপারে জানা থাকা ভাল, সময় মত কাজে দিবে ইনশা আল্লাহ।সপ্তাহে এক বা দুই দিন কালিজিরার তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। পাবেন অনেক ধরনের উপকার।
*** শুষ্ক চুলের জন্য ডিমের সাদা অংশের সাথে সামান্য কালিজিরার তেল মিশিয়ে লাগালে চুলের শুষ্কতা কমে আসে।
*** নিয়ম করে সপ্তাহে ২ বার এই তেল দিয়ে চুলের যত্ন করলে চুলের সজীবতা ফিরে আসে।
*** নতুন চুল গজানোর জন্য ১:১ অনুপাতে অলিভ অয়েল এবং কালিজিরার তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। এর পর একটি নরম তোয়ালে কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে এবং পানি নিংড়ে পুরো চুল মুড়িয়ে মাথায় লাগিয়ে রাখুন ৪০ থেকে ১ ঘন্টা সময়ের জন্য। নিয়ম করে সপ্তাহে ২ বার এভাবে চুলের যত্ন নিলে নতুন চুল গজায়।
*** চুলের দৈর্ঘ্য বাড়াতেও এই তেল উপকারে আসে।
*** এই তেল চুলের উকুন কমাতেও সাহায্য করে।
অনেকেরই চুল পড়া, দুর্বল চুল, শুষ্ক চুল ইত্যাদি নানা রকম সমস্যা থাকে।
*** ১৯৬০ সালে মিসরের গবেষকরা নিশ্চিত হন যে, কালিজিরায় বিদ্যমান নাইজেলনের কারণে হাঁপানি উপশম হয়।
*** জার্মানি গবেষকরা বলেন, কালিজিরার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-মাইকোটিক প্রভাব রয়েছে। এটি বোনম্যারো ও প্রতিরক্ষা কোষগুলোকে উত্তেজিত করে এবং ইন্টারফেরন তৈরি বাড়িয়ে দেয়।
*** আমেরিকার গবেষকরা প্রথম কালিজিরার টিউমারবিরোধী প্রভাব সম্পর্কে মতামত দেন। শরীরে ক্যান্সার উত্‍পাদনকারী ফ্রি-রেডিক্যাল অপসারিত করতে পারে কালিজিরা।
*** মোটকথা, কালিজিরা সব ধরনের রোগের বিরুদ্ধে তুলনাহীন।
আসুন জেনে নিই কালিজিরার এমন কিছু ব্যবহার, যেগুলো একেবারেই অপ্রচলিত।
১. স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে
কালিজিরা মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে আধা চা চামচ কাঁচা কালিজিরা অথবা ১ চা চামচ কালিজিরার তেল খান।
২. চুল পড়া রোধে
কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি পৌঁছে দিয়ে চুল পড়া রোধ করে এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ও ১ চা চামচ কালিজিরার তেল একসাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে নিন। চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট মাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
৩. ব্যথা কমাতে
যেকোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কালিজিরার জুড়ি নেই। কালিজিরার তেল হালকা গরম করে নিয়ে ব্যথার জায়গায় মালিশ করুন, ব্যথা সেরে যাবে। বিশেষ করে বাতের ব্যথায় বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।
৪. ফোঁড়া সারাতে
ব্যথাযুক্ত ফোঁড়া সারাতে কালিজিরা সাহায্য করে। তিলের তেলের সাথে কালিজিরা বাটা বা কালিজিরার তেল মিশিয়ে ফোঁড়াতে লাগালে ব্যথা উপশম হয় ও ফোঁড়া সেরে যায়।
৫. মেদ কমাতে
চায়ের সাথে কালিজিরা মিশিয়ে পান করলে তা বাড়তি মেদ ঝরে যেতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে পানি নিয়ে চুলার ওপরে দিন। পানি ফুটে উঠলে চাপাতা ও সমপরিমাণ কালিজিরা পানিতে দিন। চায়ের রং হয়ে এলে নামিয়ে ছেঁকে নিয়ে সাধারণ চায়ের মতোই পান করুন।
৬. দাঁতের ব্যথায়
দাঁত ব্যথা হলে, মাঢ়ি ফুলে গেলে বা রক্ত পড়লে কালিজিরা তা উপশম করতে পারে। পানিতে কালিজিরা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই পানির তাপমাত্রা কমে উষ্ণ অবস্থায় এলে তা দিয়ে কুলি করুন। এতে দাঁত ব্যথা কমে যাবে, মাঢ়ির ফোলা বা রক্ত পড়া বন্ধ হবে। এছাড়া জিহ্বা, তালু ও মুখের জীবাণু ধ্বংস হবে।
৭. মাথা ব্যথায়
ঠাণ্ডাজনিত মাথাব্যথা দূর করতে কালিজিরা সাহায্য করে। একটি সুতি কাপড়ের টুকরায় খানিকটা কালিজিরা নিয়ে পুঁটুলি তৈরি করুন। এই পুঁটুলি নাকের কাছে নিয়ে শ্বাস টানতে থাকুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা সেরে যাবে।
কালোজিরা

ডেঙ্গু মহামারী: আমরা কী করবো? হোমিওপ্যাথিতে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় প্যাকটিস কী?”

ডেঙ্গু মহামারী: আমরা কী করবো? হোমিওপ্যাথিতে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় প্যাকটিস কী?”


১) আমাদের পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে অতিতে কী কী প্রদক্ষেপ নিয়েছে তা থেকে শিক্ষা নিতে পারি। তথ্যমতে, Central Council for Research Homoeopathy, Janakpuri, New Delhi, India এর প্রধান Raj K Manchanda- Indian Journal of Research in Homoeopathy এর Volume : 9, Issue : 3, Page : 137-140, Year 2015 এর EDITORIAL এ “Dengue epidemic: What can we offer”? এই শিরোনামে লিখেছেন ২০১৫ সালে দিল্লিতে যে ডেঙ্গু হয়েছিল তাতে দেখা যাচ্ছে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগণ প্রায়ঃই Eupatorium perfoliatum ব্যবহার করেছেন- সেটি ক্লিনিক্যাল এবং অনলাইন ডাটা গবেষণা করে দেখা গেছে। ফলে পরিষদ (Council) সাম্প্রতিক Eupatorium perfoliatum কে ডেঙ্গুর Preventive হিসাবে ঘোষণা করেছে (১)।

২) ব্রাজিলে, ২০০১ সালের মে মাসে, সর্বাধিক ডেঙ্গুতে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিবেশীর ৪০% বাসিন্দাকে হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার Eupatorium perfoliatum 30C এর একক ডোজ দেওয়া হয়েছিল। এরপরে, ডেঙ্গু হওয়ার প্রকোপ কমেছে ৮১.৫%, হোমোওপ্যাথিক প্রতিকার গ্রহণ না করে এমন প্রতিবেশীদের তুলনায় এ এলাকার অত্যন্ত উল্লেখযোগ্যহারে ডেঙ্গু হ্রাস পেয়েছিল (২)।

৩) ব্রাজিলে 2008 সালে আর একটি গবেষণায় দেখা যায় Eupatorium perfoliatum এর সঙ্গে Phosphorus, Crotalus horridus কম্বিনেশন ডেঙ্গু জন্য ব্যবহার করা হয় এবং এতে ডেঙ্গু ৯৩% কমেছে (৩)।

৪) পাকিস্তানে Eupatorium perfoliatum সহ 10 টি ওষুধের একটি হোমোওপ্যাথিক কমপ্লেক্স ডেঙ্গুর জন্য ব্যবহার করেছে: Eupatorium perfoliatum, Bryonia alba, Rhus toxicodendron, Gelsemium sempervirens, Aconitum napellus, China boliviana, Hamamelis, Citrullus colocynthis, Crotalus horridus and Phosphorus (৪)।

৫) কিউবায় 25,000 রোগীর যাদের ডেঙ্গু পজিটিভ হয়েছিল তাদেরকে Eupatorium perfoliatum সহ একটি হোমোওপ্যাথিক কমপ্লেক্স ঔষধের দ্বারা চিকিৎসা করা হয় যা হচ্ছে- Bryonia alba, Eupatorium perfoliatum, Gelsemium sempervirens (৫)

মাদানি হোমিওপ্যাথিক ইন্টারন্যশনাল আপনাদের পাশে সব সময় সেবা মুলক মানুষীকতায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে পাশে আছে থাকবে ইনশা আল্লাহ।।

৬) Dr. Anand. P.R, BHMS, MD, MCA, MBA, Chief Medical Officer (NC), Department of Homoeopathy, Government of Kerala. দ্বারা পরিচালিত হোমিওপ্যাথিক ড্রাগ Eupatorium perfoliatum এর কার্যকারিতা নিয়ে মহামারী পরিসংখ্যান সম্পর্কিত গবেষণা Prof. Hameed Labba et al (2015) তাদের বই “Homebook: Everything in Homeopathy” দেখান যে ২০০৩ সালে কেরালার ৩ টি জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছিল যেখানে ২০ লাখ মানুষকে হোমোওপ্যাথিক প্রতিরোধক ওষুধ Eupatorium perfoliatum দেয়া হয়েছিল ফলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের জন্য 86% ডেঙ্গু কমেছিল (৬)।

৭) Booericke তার রিপার্টোরিতে ডেঙ্গুর জন্য ৩টি ঔষধের মধ্যে ১টি বলেছেন Eupatorium perfoliatum (৭)

অতএব ডেঙ্গুর চিকিৎসায় আমরা Eupatorium perfoliatum ব্যবহার করতে পারি। উপরোক্ত তথ্য থেকে আমরা ডেঙ্গুর প্রতিরোধক হিসাবেও আমরা Eupatorium perfoliatum ব্যবহার করতে পারি।

References:
(১) Raj K Manchanda (2015). “Dengue epidemic: What can we offer?” Indian Journal of Research in Homoeopathy, Volume: 9, Issue : 3, Page: 137-140, Year, 2015. Editor in Chief, Central Council for Research Homoeopathy, Janakpuri, New Delhi, India. 
(২) Marino R. Homeopathy and Collective Health: The Case of Dengue Epidemics. Int J High Dilution Res 2008;7:179-85
(৩) Nunes L. Reynaldo AS. Amorim MHC. Zandonade E. Salume S. Contribution of homeopathy to the control of an outbreak of dengue in Macaé, Rio de Janeiro. Int J High Dilution Res 2008;7:186-92.
(৪) Hassan S. Tariq I. Khalid A. Karim S. Comparative Clinical Study on the Effectiveness of Homeopathic Combination Remedy with Standard Maintenance Therapy for Dengue Fever. Tropical Journal of Pharmaceutical Research October 2013;12:767-70. Back to cited text no. 8.
(৫) Bracho G. Homoeopathy and ultradilutions: From basic evidences to practical applications. Powerpoint presented at 14 th Japanese Homoeopathic Medical Association (JPHMA) Congress. 7-8 December 2013.
(৬) Dr. Anand. P.R, BHMS, MD, MCA, MBA, Chief Medical Officer (NC), Department of Homoeopathy, Government of Kerala. “Results of Mass Homoeopathic Prophylaxis in Dengue Epidemic” in Prof. Hameed Labba et al (2015) “Homebook: Everything in Homeopathy".
(৭) Boericke Repertory: http://www.homeoint.org/books4/boerirep/index
writing credit:...
sir Mohammad Sofiullah

সাত দি‌নের বাচ্চার আলসার দ্বিতীয় দিন থে‌কেই ফলাফল শুরু

সাত দি‌নের বাচ্চার আলসার দ্বিতীয় দিন থে‌কেই ফলাফল শুরু

মুহাম্মদ ওয়‌া‌লিউল্লাহ। নওগাঁ জেলার ন‌জিপু‌রে তার জন্ম। জ‌ন্মের সাত দিন পর পায়ূপ‌থে ( পায়খানার রাস্তা ) ঘা দেখা‌দেয় । সা‌থে ঘনঘন পাতলা পায়খানা ছিল। ন‌জিপুর দুজন ডাক্তারকে দেখা‌নো হল। ‌একজন ডাক্তার ঘু‌মের ঐষধ ও মলম ব্যবহার কর‌তে দেয়। মলম লাগা‌নোর স‌ঙ্গে স‌ঙ্গে বাচ্চার আত্ম‌চিৎকার ও ছটফট এমন ভা‌বে কর‌তে থা‌তে। উপ‌স্থিত সবার চো‌খে পা‌নি আসে। বাচ্চার ঘা বাড়‌তে থা‌কে। পাইখানা কর‌তে খুব কষ্ট হ‌চ্ছে। পায়ুপথ ও আসেপা‌শের বেশ জায়গা নি‌য়ে দগদ‌গে হ‌তে থা‌কে। বাচ্চার অবস্থা অবন‌তি দে‌খে, আ‌রেকজন ডাক্তার‌কে দেখা‌নো হয়। দ্বিতীয় ডাক্তার বাচ্চা‌কে বু‌কের দুধ বন্ধ ক‌রে কৌটার দুধ খাওয়া‌তে ব‌লেন। সা‌থে কিছু ঐষধও দি‌লেন। কিছু দিন দ্বিতীয় ডাক্তা‌রের ম‌তে চি‌কিৎসা চল‌তে থা‌কে। কৌটার দুধ খাওয়া‌তে গি‌য়ে বাচ্চার পাইখানা বন্ধ হ‌য়ে নতুন আরো এক‌টি কষ্ট যোগ হল। বাচ্চার কষ্ট আ‌রো বেশি হ‌লে রাজশাহী নেওয়া হ‌লে রাজশা‌হির ডাক্তার ব‌লেন বাচ্চা‌দের এমন হ‌তেই পা‌রে। বাচ্চা ক‌ষ্টের কার‌নে এক মহুর্ত ঘুমা‌তে পা‌রেনা। কষ্ট আ‌রো বাড়‌তে থাক‌লে আমা‌দের চেম্বা‌রে যোগা‌যোগ ক‌রে।
আমরা ভা‌লো ক‌রে দে‌খি। ঘা পায়ুপ‌থের মু‌খ ও ভিত‌রের দি‌কে বিস্তৃত হ‌য়ে‌ছে এবং বা‌হি‌রে চতু‌র্দি‌কে ছ‌ড়ি‌য়ে গে‌ছে। আমরা সেই ঘা‌ আলসার ব‌লে ধারনা ক‌রি এবং আলসা‌রের চি‌কিৎসা পত্র ক‌রে একমাসের ঔষধ দি‌য়ে পা‌ঠি‌য়ে দেই। দু‌দিন ঔষধ ব্যাবহার ক‌রে বাচ্চা আরাম পে‌তে থা‌কে। বাচ্চার কষ্ট ক‌মে যায়। কান্না বন্ধ হ‌য়ে বাচ্চা একদম স্বাভা‌বিক হ‌য়ে যায়। একমা‌সে ঘা অ‌নেকটায় ক‌মে যায়। দ্বিতীয় মা‌সে ঘা একদম ভা‌লো হ‌য়ে যায়। হো‌মিও চি‌কিৎসা ম‌তে আমা‌দের চি‌কিৎসা ছয় মাস চ‌লতে থা‌কে। এখন ওয়া‌লিউল্লাহ অ‌নেক ভা‌লো আ‌ছে। আলহামদু‌লিল্লাহ
মাদানী হোমিওপ্যা‌থিক ইন্টারন্যাশনাল এর পক্ষ থে‌কে ওয়‌া‌লিউল্লাহর জন্য সুস্বাস্থ ও নেক হায়াত কামনা ক‌রি।
চিকিৎসার আগে

চিকিৎসার পরে

চিকিৎসার পরে

মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৯

ইউরিক এসিড

 ইউরিক এসিড আমাদের শরীরে দুই ধরনের এমাইনো এসিডের প্রয়োজন পড়ে। একটি আবশ্যক (এসেনশিয়াল) এমাইনো এসিড। আরেকটি অনাবশ্যক (নন এসেনসিয়াল) এমাইনো এসিড। এই নন এসেনসিয়াল এমাইনো এসিডের মধ্যে একটি হলো পিউরিন। এই পিউরিন স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে পাওয়া যায়। কারণ শরীরে পিউরিন তৈরি হয়।
এ ছাড়া কিছু কিছু খাবার থেকেও আমরা পিউরিন নামক এমাইনো এসিড পেয়ে থাকি। কোষে থাকা এই পিউরিনের ভাঙনের ফলে যে উপাদান তৈরি হয় একেই ইউরিক এসিড বলে। এই ইউরিক এসিড রক্তে চলে যায়। নারীর ক্ষেত্রে রক্তে ইউরিক এসিডের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ২ দশমিক ৪ থেকে ৬ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৩ দশমিক ৪ থেকে ৭ দশমিক ০ মিলিগ্রাম পার ডিএল।

কোন কোন খাবার থেকে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়?যদি দেহে অতিমাত্রায় পিউরিনযুক্ত প্রানীজ প্রোটিন এর বিশ্লেষণ বেশি হয় এবং বিশেষ করে লাল মাংস যেমনঃ গরু, খাসী, ষাড় এর মাংস, মাছের ডিম, কলিজা ইত্যাদি যদি বেশী খাওয়া হয় তবে ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেক বেশী হয়। এছাড়াও পিউরিন সমৃদ্ধ শাক-সবজি ও বীচি জাতীয় খাবার যেমনঃ বিভিন্ন ডাল, বীচি, মাশরুম, পালং শাক, সীম, বরবটি, ফলের মধ্যে আম, কলা, সফেদা, খেজুর, কিসমিস, আখ, তাল ইত্যাদি।

 মাত্রাতিরিক্ত ইউরিক এসিড আমাদের দেহে কি কি ক্ষতি করে?
ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে দেহের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অংগ বিশেষ করে কিডনির উপরে দীর্ঘদিন জমলে রেনাল স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। ফলে কিডনি ঠিক মত কাজ করে না এবং মুত্রের মাধ্যমে ইউরিক এসিড ও অন্যান্য বর্জ্য শরীর থেকে বের হতে পারে না। কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয় এবং কিডনি ড্যামেজ ও হয়। এছাড়াও বাড়তি ইউরিক এসিড শরীরের হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে ক্রিস্টাল এর মত হয়ে জমে যায়, যাতে করে অনেক রোগীর হাড়ের সন্ধিস্থলে ফুলে যায় এবং খুব ব্যাথা হয়। এই রোগের নামই গাউট বা গেটে বাত। সোডিয়াম এর মাত্রা নিয়ন্ত্রনে এর ভুমিকা থাকায় হাইপ্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতাসহ হার্ট ডিজিজ এর সম্ভাবনা ও বেড়ে যায়।

কি কি খাবার খেলে ইউরিক এসিড কমে যায়?
১। বাদাম
বিশেষ ধরনের, মানে ব্রাজিলে উৎপাদিত বাদাম, আমন্ড, ম্যাকাডেমিয়া বাদাম ও আখরোটে সাধারণত পিউরিনের পরিমাণ কম থাকে, যা ইউরিক এসিডের মাত্রাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সাহায্য করবে। ব্রাজিলে উৎপাদিত বাদামে পিউরিনের পরিমাণ মাত্র ৪০ মিলিগ্রাম। তবে রাস্তায় আমরা সচরাচর যে বাদামগুলো দেখতে পাই, ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, প্রতি কাপে সেগুলোতে পিউরিনের পরিমাণ ৮০ মিলিগ্রাম।
২।লেবুর শরবত
ইউরিক এসিড প্রতিরোধে সাইট্রিক এসিড (কমলালেবু বা লেবুতে থাকা একধরনের বিশেষ এসিড) সেরা একটি হাতিয়ার। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন-সি এবং সাইট্রিক এসিড। ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে একটি লেবুর রস এক গ্লাস গরম পানিতে দিয়ে প্রতিদিন দুবার অথবা তিনবার পান করা উচিত।
৩।অলিভ অয়েল
শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। অলিভ অয়েলে রয়েছে প্রদাহরোধী ক্ষমতা। তাই ইউরিক এসিডের প্রদাহ থেকে বাঁচতে সবজি, সালাদ ও পাস্তাতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

আপনার সচেতনতা সুস্থ থাকার প্রধান উপায়, আর মনে রাখবেন সুস্থ শরীরে পথ্য মেনে চললে সাধারণত অসুস্থতা কম আসে।
হোমিওপ্যাথিতে ইউরিক এসিড জনিত চিকিৎসা খুব সফলভাবে করা যায়।

জরায়ু নিচের দিকে নেমে যাওয়া ও বাঁচার উপায়

জরায়ু নিচের দিকে নেমে যাওয়া ও বাঁচার উপায়

অনেক সময় বিভিন্ন কারণে জরায়ু নিচের দিকে নেমে যায়। একে "ইউটেরাল প্রলাপস" বলা হয়।
যখন প্রলাপস প্রবলেম দেখা দেয় তখন সাধারণত ভ্যাজাইনা (যোনিপথ) এর মধ্যে ভারী কিছু অনুভূত হয়। তলপেট ভারী ভারী লাগে, কোমরে, পিঠে ব্যথা হয়। এ লক্ষণগুলো নিয়ে ডাক্তারের কাছে এলে, ডাক্তার প্রলাপস ধারনা করে এবং নির্ণয় করে যে তার প্রলাপস কত ডিগ্রি বর্তমান।
*** প্রলাপস সাধারণত তিন স্তরে হতে পারে:-
** প্রথম পর্যায়ের প্রলাপস এ কিছু কস্টের লক্ষন দেখা দেয় এবং ডাক্তার বলে দেন আপনি ভারী জিনিস ওঠাবেন না, তা এক পর্যায় ভালো হয়ে যাবে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রলাপস হয় আর রোগী যদি তরুণ হয়, তার পারিবারিক জীবন যদি পূর্ণ না হয়, তখন ডাক্তার একটি অস্ত্রোপচার করে। যতটুকু বের হয়েছে, একে কেটে ছোট করে ফেলে। এর পর ডাক্তারগণ তাকে পরামর্শ দেয়। পরে বাচ্চা নিলে অ্যাবোরশন (গর্ভপাত) হয়ে যেতে পারে। তবে অ্যাবোরশনেরও (গর্ভপাত) একটি চিকিৎসা আছে। তখন ডাক্তার একটি পদ্ধতিতে মুখকে বেঁধে দেয়, যেন বাচ্চাটি পড়ে না যায়।
তৃতীয় পর্যায়ে হলে একে ডাক্তারগণ ফেলে দিতে পরামর্শ দেয়।
অল্প বয়সেও প্রলাপস হয়। ভারী কাজ করলে অনেক সময় অবিবাহিত মেয়েদেরও প্রলাপস হতে পারে। সুতরাং তাদেরও এ রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রিয় পাঠক,
দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রলাপসে চিকিৎসা করে সুস্থ হলেও অনেক জটিলতা রয়ে যায়। তার মধ্যে একটি হলো, অ্যাবোরশন (গর্ভপাত) হতে পারে।
# তৃতীয় পর্যায়ে জটিলতা হয়ে অনেক কিছু হতে পারে। 
তার মধ্যে কিছু জটিলতা উল্লেখ করা হল।
1. বেঁধে দেয়া ইউটেরাল নেমে যেতে পারে।
2. হেমোরেজ হতে পারে।
3. ভ্যাজাইনা ছোট হতে পারে।

প্রিয় পাঠক, যে কোন ডিগ্রি ইউটেরাল প্রলাপস, ঔষধ সেবন করে, অপারেশন ছাড়াই সুস্থ হতে পারেন।

Ipecac